খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের দাবি, এক নারী ও একই পরিবারের তিনজনসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা ২ জন জানানো হয়েছে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। তারা হলেন- মফিজ মিয়া (৫০) ও মো. হানিফ (২৮)। তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এরইমধ্যে নিহত ২ জনের নাম নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন- বিজিবি-৪০ ব্যাটালিয়নের সদস্য মো. শাওন (৩০), স্থানীয় বাসিন্দা মুসা মিয়ার ছেলে আহম্মদ আলী (২৫)। সংঘর্ষের ঘটনায় আহম্মদ আলীর বাবা মুসা মিয়া ও ভাই আলী আকবরও নিহত হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলে হার্ট অ্যাটাক করে রঞ্জু বেগম নামে এক নারীরও মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ভূঁইয়া।
এ ব্যাপারে ওসি শামসুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘গাজীনগর চেকপোস্টে একদল গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষে আহম্মদ আলী ও বিজিবি সদস্য শাওনা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহম্মদ আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তবে শাওন কীভাবে নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। সংঘর্ষের কারণও স্পষ্ট নয়।’
এ বিষয়ে মুসা মিয়ার ছোট ভাই মো. ইব্রাহিম বলেছেন, ‘আমার দুই ভাতিজা আহম্মদ আলী ও আলী আকবরকে নিয়ে ট্রলিতে করে কাঠ নিয়ে যাচ্ছিলেন আমার ভাই মুসা। গাজীনগর চেকপোস্টে বিজিবি সদস্যরা তাদের ট্রলি থামালে দুপক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যদের গুলিতে আমার ভাই মুসা ও দুই ভাতিজা নিহত হয়।’
মুসা মিয়ার আরেক ছোটভাই আবু বকর জানিয়েছেন, আহম্মদ আলী ও বিজিবি সদস্যের লাশ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মুসা ও আলী আকবরের লাশ ঘটনাস্থলে পড়ে আছে।
এদিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামসুল হক বলেছেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা এটুকু নিশ্চিত হয়েছি যে, একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন।’