টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার লাউহাটী ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে পিটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মো. হারুন অর রশিদ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে লাউহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম খান ফিরোজের ছেলে মো. মারুফ হোসেন খান ও তার (ফিরোজের) ভাগিনা রনি আমাকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বাহিরে এনে আরও অজ্ঞাত ৭-৮ জন যুবকের সহায়তায় কিল-ঘুষি-লাথি মারে। তারা জোরপূর্বক আমাকে চেয়ারম্যান ফিরোজের বাড়িতে নিয়ে ১ ঘণ্টা আটকে রাখে।
তিনি বলেন, রুবেল মেম্বারের সহায়তায় পাশের বাড়িতে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজের নিকট নেয়া হয়। সেখানে ফিরোজ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবং বলে এ শিক্ষক বিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবে না। সেখান থেকে হামলাকারীরা জোরপূর্বক আমাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ মুছে ফেলতে চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করলে অন্য শিক্ষকদের মাধ্যমে আমি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাই।
লাউহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খান ফিরোজ বলেন, পিটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় আমার ছেলে মারুফ জড়িত নয়। আমার বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগও সত্য নয়। প্রধান শিক্ষক একজন মিথ্যাবাদী তিনি আমার এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুজিবুল আহসান বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে লাউহাটী ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ড. আলিম আল রাজি উচ্চ বিদ্যালয় ও পিটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যকার খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ ধরে স্থানীয় কতিপয় বখাটে যুবক পিটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছে।