তোমার মনের ব্যালকনিতে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে,
সদা দীপ্ত গন্ধে ফুলেরা ফুটে,
স্বয়ং এক নিষ্পাপ আবেগে।
তাসমেরী, রঙ্গন, হাসনাহেনা আর চাঁপার সুগন্ধে,
আমি নিত্য ভোমরা হয়ে যাই,
হৃদ্যতার মধুর পরখ করতে।
তোমার আবেগীয় মিষ্টি রজনীগন্ধার সুবাসে,
ভুলে যাই আমি মোহময়ী মুগ্ধতায়,
অভিমানী গোলাপের কাঁটার আঘাতকে।
তৃণলতা আর গুল্মের মনরূপী নরম মকমলি ঘাসে,
আমি উড়ন্ত প্রজাপতি হই,
ছুটে যাই এক নেশাময়ী নির্যাসে।
গোধুলির স্নিগ্ধ নরম আলো যখন পড়ে তোমার মুখায়বে,
আমি তখন বারবার নিজেকে হারাই,
হারাই আমার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব এক আকর্ষিক প্রণয়ে।
আশার ফুলঝুরিতে মালা হয়ে গাঁথবো আমৃত্যু কাব্য গাঁথা,
সন্ধ্যের সোনালী আকাশে,
নীড়ে ফেরা উড়ন্ত পাখিদের ঝাঁকে যেথায় রবে না সংকীর্ণতা।
বেঁধে দিব আমার মৃন্ময়ী সকল চাওয়াকে,
উড়িয়ে দিব সব তোমার নিরব আহুতি
আর সকল না পাওয়াকে।
ফিরব না আমি তোমাকে ছাড়া কোন স্বপ্নের পৃথিবীতে,
আমার স্বপ্নতে যে শুধু তোমার বসবাস,
আমার পৃথিবীর মালিকানা তোমাতে।
তুমি মনের ব্যালকনির দরজাকে কর আরো সহনশীলতায় প্রশস্ত,
এনে দিব আমি তোমার চরণে,
আমার স্বপ্নের পৃথিবীকে আস্ত।
তুমি তাতে কখনো পরিযায়ী, কখনো গাংচিল, কখনো চিলের বেশে,
উড়াবে স্বপ্নকে মেঘেদের সাদা ডানায় ভর করে,
আমার শুভ্রতার ঘুড়ি হয়ে।